* মহিলারা ইহরাম বাঁধার পর মুখমন্ডল খোলা রাখবেন। তবে বেগানা পরুষের সামনে ওড়না দাড়া মুখ ঢেকে নিবেন এমনভাবে যেন কাপড় চেহারা স্পর্শ না করে।
* ইহরামের জন্য অযু করলে মাথার রুমাল সরিয়ে চুলের উপরই মাথা মাসেহ করতে হবে।
* ইহরাম অবস্থায় অলংকার এবং হাতমোজা পরা জায়েয তবে না পরাই উত্তম ।
* মহিলারা উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়বেন না, নিজে কানে শুনতে পান এমনভাবে পড়বেন।
* মহিলাদের জন্য মাথা মুন্ডন করা নিষিদ্ধ । সুতরাং ইহরাম খোলার পর সমস্ত চুলের অগ্রভাগ থেকে আঙ্গুলের এক কড়া পরিমাণ চুল নিজের হাতে বা অন্য মহিলা দ্বারা অথবা মাহরাম ব্যক্তি দ্বারা কেটে ফেলতে হবে। কোন বেগানা পুরুষকে দিয়ে কাটানো বৈধ নয় ।
* মহিলারা তাওয়াফের সময় কখনও ‘ইজতিবা’ ও ‘রমল’ করবেন না এবং সায়ী করার সময় সবুজ বাতিদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে দৌড়াবেন না বরং স্বাভাবিক গতিতে চলবেন।
* যথাসম্ভব পরুষদের এড়িয়ে হজ্ব ও উমরার আমল সম্পন্ন করুন।
* ইহরাম বাঁধার সময় কোন মহিলা ঋতুবর্তী অবস্থায় থাকলে নামায পড়া ছাড়া বাকী কাজগুলো করে ইহরাম বাঁধুন।
* ঋতুবর্তী অবস্থায় মসজিদে হারামে প্রবেশ করবেন না। ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার পর উমরার বাকী কাজগুলো অর্থাৎ তাওয়াফ, সায়ী ইত্যাদি করবেন।
* হজ্বের শুরুতে অর্থাৎ, ৮ই যিলহজ মিনা যাওয়ার সময় যদি কোন মহিলা ঋতুবর্তী থাকেন, তাহলে নামায ছাড়া অন্য কাজগুলো করে ইহরাম বেঁধে নিন এবং তাওয়াফে যিয়ারত ছাড়া হজ্বের অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করুন।
* এরপর অপেক্ষা করুন। ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফে যিয়ারত করুন। এই বিলম্বের জন্য (১২ই যিলহজ্বের পরে হলেও) তার উপর কোন দম অর্থাৎ কাফফারা স্বরূপ কুরবানী ওয়াজিব হবে না। তবে মনে রাখবেন তাওয়াফে যিয়ারত ছাড়া হজ্ব আদায় হয় না ।
* বিদায়ী তাওয়াফের সময় যদি কোন মহিলা ঋতুবর্তী হন এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করা তার জন্য সম্ভব না হয় তাহলে তাওয়াফে বিদা তার উপর ওয়াজিব থাকবে না। তার উচিত মসজিদে হারামে প্রবেশ না করে দরজার নিকট দাড়িয়ে দুআ করে রওয়ানা হয়ে যাওয়া ।
* কোন কোন মহিলা হজ্বের সময় ঋতুনিরোধ পিল খেয়ে থাকেন, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হলে শরীয়াতে নিষেধ নেই ।
* ইহরাম বাঁধার পরও মহিলারা মাথা ঢেকে রাখবেন।
* খেয়াল রাখবেন নামাযে হাত উঠানোর সময় যেন হাত ওড়নার ভেতরে থাকে ।
* মহিলারা নামায পড়া অবস্থায় মুখমন্ডল, হাত এবং পা ব্যতীত শরীরের অন্য কোন অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমান যদি এতক্ষণ খোলা থাকে যে তিনবার সুবহানাল্লাহ পড়া যায়, তাহলে নামায সহীহ হবে না। এর চেয়ে কম সময় খোলা থাকলে নামায সহীহ হবে, কিন্তু গুনাহ হবে।
* মহিলারা এমন সময় তাওয়াফ শুরু করবেন যেন নামাযের জামাতের আগেই তাওয়াফ শেষ হয়ে যায়।
* মহিলারা পুরুষের সাথে নামাযে দাড়াবেন না। তারা বাবুননিসা বা মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নামায পড়বেন।