প্রথমে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে আমীর নির্বাচন করুন। আমীর আলেম হলে ভালো হয়। কোন কোন হজ্ব এজেন্সীর পক্ষ থেকে আগে থেকে আমীর নির্ধারিত থাকে। তাই ক্যাম্পে পৌঁছেই আপনি তার মামুর হয়ে গিয়েছেন। অতএব এখন থেকে সব কাজ তার আদেশ-নিষেধমত করার চেষ্টা করুন।
হাজী ক্যাম্পে অবস্থানকালে হজ্ব অফিস হতে বিভিন্ন সময়ে মাইকযোগে যেসব বিষয় প্রচার করা হয় তা মনযোগসহ শুনুন ।
জিদ্দায় প্রতিটি বাসের আসন সংখ্যা ৫০/৫২। ফলে সব আসন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বাস ছাড়বে না। এজন্য হাজী ক্যাম্প থেকেই ৫০/৫২ জনের দল ঠিক করে একই ফ্লাইটে যাওয়া উচিত। অন্যথায় জিদ্দায় অনেক কষ্ট করতে হবে।
ফ্লাইটের ৫/৬ ঘন্টা বাকী থাকতে খানাপিনাসহ সব প্রয়োজন সেরে নিন। মক্কায় পৌঁছা পর্যন্ত রাস্তায় প্রয়োজন হতে পারে যেমন, হজ্বের দুই একটা বই, কলম, গামছা, রুমাল প্রয়োজনীয় ঔষুধ, কিছু শুকনা খাবার ইত্যাদি একটি হ্যান্ডব্যাগে রেখে বড় ব্যাগে তালা লাগিয়ে দিন ।
হজ্ব অফিস থেকে প্রেরিত অনুমতি পত্রে নির্ধারিত যে তারিখ থাকবে, সে তারিখে সকাল ১০ টার মধ্যে হাজী ক্যাম্পে গিয়ে আপনাকে রিপোর্ট করতে হবে ।
জিদ্দা যাত্রার পূর্ব দিন বিমান কাউন্টার হতে পিলগ্রিম পাস, ভিসা, টিকেট, ব্যাজ এবং ব্যাংক কাউন্টার হতে প্রয়োজনীয় রিয়াল বা ড্রাফটচেক সংগ্রহ করুন।
প্রথমে মেডিকেল কাউন্টারে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্বারা আপানার হেলথ সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে নিন । তারপর হজ্ব অফিসের কাউন্টারে অনুমতিপত্র জমা দিয়ে আপনার বিমানের আসন বুক করিয়ে নিন। অন্যথায় অনুমতিপত্রে উল্লিখিত তারিখে আপনি হজ্বে যেতে পারবেন না। *বেসরকারী ব্যবস্থাপনার হজ্বযাত্রীগণ এজেন্সীর পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তবে এজেন্সীর নিকট হতে ঢাকা থেকে জিদ্দা, জিদ্দা/মক্কা থেকে মদীনা, মদীনা /জিদ্দা থেকে ঢাকা যাওয়া আসার একটি পূর্নাঙ্গ টাইম সিডিউলে চুক্তি করে নেবেন, যাতে পরবর্তীতে যাওয়া-আসার তারিখ নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।
হজ্ব ক্যাম্পে সফরের যাবতীয় জিনিস কিনতে পাওয়া যায়, কোন কিছু কিনতে বাকী থাকলে সেখান থেকে কিনে নিন ।
আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও পিলগ্রিম পাস নম্বর একটি কাগজে লিখে তা আপনার লাগেজের গায়ে লাগিয়ে নিন ।
পিলগ্রিম পাস, টিকেট ও ব্যাংক ড্রাফট চেক/নম্বর নোটবুক বা কাগজে লিখে রাখুন। যেন হারিয়ে গেলেও নম্বর বলতে পারেন ।
হজ্ব ক্যাম্প হতে জিদ্দা বিমান বন্দর যাওয়া পর্যন্ত টিকেট, পিলগ্রিম পাস, ভিসা, হেলথ সার্টিফিকেট ও রিয়াল/ড্রাফট ইত্যাদি রাখার একটি ছোট মজবুত ব্যাগ গলায় ঝুলিয়ে রাখবেন ।
কোন প্রকার হজ্ব করবেন তা নির্ধারন করুন। তিন প্রকার হজ্বের কোন প্রকার করবেন তা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে, বিশেষ করে হজ্ব ক্যাম্পে গিয়ে অবশ্যই তা নির্ধারণ করে নিন।
প্রথমে কোথায় যাবেন তা ঠিক করুন। শরীয়াতের দৃষ্টিতে মক্কা বা মদীনা যে কোন স্থানে আগে যেতে পারেন। তবে ফরয হজ্ব আদায়কারীদের জন্য হজ্ব ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকলে আগে হজ্ব আদায় করা উত্তম। অতএব সময়ের দিকে খেয়াল রেখে আপনি আগে যেখানে যেতে চান এজেন্সীকে সে অনুযায়ী ফ্লাইট দিতে বলবেন।
আপনার গ্রুপের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা আপনার কাছে লিখে রাখুন।