নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত

نَحْمَدُهٗ وَ نُصَلِّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ، اَمَّا بَعْدُ!
হামদ ও সালাতের পর ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি বালেগ, বিবেকবান নারী-পুরুষের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা ফরয। যদি কেউ নামায তরক করে তাহলে তাহলে সে গুনাহগার হবে এবং এজন্য তাকে পরকালে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর যদি কেউ নামায নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে কিংবা অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে।
কুরআনের আলোকে নামায
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন—
وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ-
অনুবাদ— তোমরা সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও, আর আনুগত্য কর রাসূলের, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হতে পার।
অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন—
حٰفِظُوْا عَلَی الصَّلَوٰتِ وَالصَّلٰوۃِ الْوُسْطٰی ق وَقُوْمُوْا لِلهِ قٰنِتِیْنَ-
অনুবাদ— তোমরা সকল নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।
আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেছেন—
وَاَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَاٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللهِ-
অনুবাদ— তোমরা সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও। আর তোমরা নিজেদের জন্য যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, [তার প্রতিদান] আল্লাহর কাছে পাবে।
একাগ্রতার সাথে নামায আদায়ের ফযীলত
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন—
قَدْ اَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ ۙ ﴿۱﴾ الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ صَلَاتِهِمْ خٰشِعُوْنَ ۙ﴿۲﴾
অনুবাদ— নিশ্চয়ই ঐ সকল ঈমানদারগণ সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামায খুশু-খুযুর সাথে আদায় করে।
নামায অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন—
اُتْلُ مَاۤ اُوْحِیَ اِلَیْكَ مِنَ الْکِتٰبِ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْکَرِؕ وَلَذِكْرُ اللهِ اَكْبَرُؕ وَاللهُ یَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ-
অনুবাদ— তোমার প্রতি যে কিতাব নাযিল করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং নামায কায়েম কর। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ ভালো জানেন যা তোমরা কর।
নামায পড়লে নামাযী ব্যক্তিরই উপকার
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন—
اِنَّ الَّذِیْنَ یَتْلُوْنَ کِتٰبَ اللهِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّ عَلَانِیَۃً یَّرْجُوْنَ تِجَارَۃً لَّنْ تَبُوْرَ-
অনুবাদ— নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব [কুরআন] তেলাওয়াত করে, নামায কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের দ্বারা পাঁচটি পুরস্কার
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন— যারা যথাসময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তাদরে পাঁচটি পুরস্কার দিবেন। যথা—