প্রতিটি মানুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বে অজু করে পবিত্রতা অর্জন করা ফরয। অপবিত্র অবস্থায় নামায পড়া হারাম। এই মর্মে সূরা মায়িদায় আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন—

 

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قُمْتُمْ  اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَكُمْ وَاَیْدِیَكُمْ  اِلَی الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوْا بِرُءُوْسِكُمْ وَ اَرْجُلَكُمْ  اِلَی الْکَعْبَیْنِ-

 

ধারাবাহিক অজুর নিয়ম

[১] পবিত্রতার [শরীর ও আত্মার] নিয়ত করা।

[২] শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।

[৩] মেসওয়াক করা।

[৪] তিনবার উভ হাত কব্জিসহ ধৌত করা।

[৫] তিনবার কুলি করা।

[৬] তিনবার নাকে পানি দেয়া।

[৭] তিনবার মুখমণ্ডল ধৌত করা।

[৮] দাঁড়ি ঘন হলে খিলাল করা সুন্নাত আর পাতলা হলে নিচে পানি প্রবেশ করানো ফরয।

[৯] তিনবার উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।

[১০] হাতের আঙ্গুলসমূহ খিলাল করা।

[১১] সমস্ত মাথা একবার মাসাহ করা।

[১২] উভয় কান মাসাহ করা।

[১৩] গর্দান মাসাহ করা মুস্তাহাব।

[১৪] তিনবার উভয় পায়ের টাখনুসহ ধৌত করা।

[১৫] পায়ের আঙ্গুলসমূহ খিলাল করা।

[১৬] অজু শেষে কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।

অজুর আদবসমূহ

[১] মা’যূর না হলে ওয়াক্ত আসার পূর্বে অজু করা।

[২] অজুর পূর্বে পেশাব-পায়খানা সেরে নেয়া।

[৩] উঁচু স্থানে বসে অজু করা।

[৪] কেবলামুখী হয়ে অজু করা।

[৫] অজুর সময় দুনিয়াবী কথাবার্তা না বলা।

[৬] তারতীব অনুযায়ী অজু করা।

[৭] আংটি, চুড়ি, নাকের অলংকার ইত্যাদি ভালভাবে নেড়েচেড়ে পানি পৌঁছে দেয়া।

[৮] অতিরিক্ত পানি ব্যয় না করা।

[৯] প্রয়োজন ছাড়া কোন অঙ্গ তিনবারের বেশি না ধোয়া।

[১০] বাম হাত দ্বারা নাক পরিস্কার করা।

[১১] অজুর সমস্ত কাজ ডান দিক থেকে করা।